রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫১ অপরাহ্ন
কালের খবর প্রতিবেদক:দুর্নীতির মামলার রায়ের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এসে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন,‘আমি যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তত। জেল বা সাজার ভয় দেখিয়ে কাজ হবে না।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে সামনে সংবাদ সম্মেলনে আসেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বুধবার বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের নিজ কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
খালেদা জিয়া বলেছেন,‘বাংলাদেশে এখন ন্যায় বিচার নেই। আমি যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তত। জেল বা সাজার ভয় দেখিয়ে কাজ হবে না। আমি মাথা নত করব না। একদলীয় শাসন দীর্ঘায়িত করার খায়েস পূরণ হবে বলে আমি মনে করি না।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘দেশবাসীর উদ্দেশে সগৌরবে জানাতে চাই, আপনাদের খালেদা জিয়া কোনো অন্যায় করেনি। কোনো দুর্নীতি আমি করিনি।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘ভিত্তিহীন ও মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিবাদে ভীত হয়ে এ হীন পথ বেছে নিয়েছে এ অবৈধ সরকার। সারা দেশে তারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।’
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘আদালত রায় দেওয়ার বহু আগে থেকেই শাসক মহল চিৎকার করে বেড়াচ্ছে আমার জেল হবে। যেন বিচারক নয়, ক্ষমতাসীনরাই রায় ঠিক করে দিয়েছে।’
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘আদালত রায় দেওয়ার বহু আগে থেকেই শাসক মহল চিৎকার করে বেড়াচ্ছে আমার জেল হবে। যেন বিচারক নয়, ক্ষমতাসীনরাই রায় ঠিক করে দিয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেন, ‘কথিত সংসদে নেই প্রকৃত বিরোধী দল।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘মাদকের বিষাক্ত ছোবলে তরুণ সমাজ ধ্বংস হচ্ছে। সমাজে দেখা যাচ্ছে অবক্ষয়। এই অবক্ষয় থেকে মানুষ মুক্তি পেতে চায়। তারা অধিকার ফিরে পেতে চায়। তারা আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। ’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘বিএনপির অগণিত নেতাকর্মী, অসংখ্য মানুষ হামলা ও মামলার শিকার হচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘দেশের মানুষ তাদের নির্বাচন করেনি। তাদের দেশ পরিচালনায় জনগণের সম্মতি নেই। নৈতিক দিক দিয়ে তারা অবৈধ।’ তিনি বলেন, ‘জনগণের সমর্থন নেই বলেই তারা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন করতে ভয় পায়।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘সরকারি খরচে এক বছর আগে থেকেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে। মানুষ প্রহসনের নয় সত্যিকারের নির্বাচন চায়।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদদু আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রমুখ।